- ঢাকা
- মঙ্গলবার , ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , রাত ১২:৪১
- ২৮ মাঘ, ১৪৩১
ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ
জয়পুরহাট
প্রতিনিধি
জয়পুরহাটে কৃষি বিভাগের সেচ সুবিধায় রোপণ করা হচ্ছে রোপা আমন। চলতি রোপা আমন চাষ মৌসুমে প্রয়োজন মাফিক বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গভীর ও অগভীর নলকুপের সেচ সাহায্যে চলছে রোপা আমন ধানের চারা রোপণ। এ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কৃষকরা। গত দু’মাস ধরে তেমন বৃষ্টিপাতের দেখা না মেলায় খরার কবলে পড়েছে খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছেন, জয়পুরহাট জেলায় এবার রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।কিন্তু গত দু’মাস ধরে আশানুরুপ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় খরার কবলে পড়েছে এ জেলা। সে কারণে স্থানীয় কৃষি বিভাগ সেচের আওতায় রোপা আমন চারা রোপণের পরামর্শ প্রদান করে কৃষকদের। রোপা আমন চাষ সফল করতে জেলায়-২ হাজার ৩৬০টি সেচ পাম্পের মাধ্যমে সেচ দিয়ে কৃষকরা এখন চারা রোপণ করছেন।ইতোমধ্যে (৩১ জুলাই পর্যন্ত ) ৭০ ভাগ জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ। জেলায় চলতি ২০২৩-২০২৪-চাষ মৌসুমে ৬৯ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের ৬১ হাজার ৮৬২ হেক্টর, হাইব্রীড জাতের ৭ হাজার ৩৬০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের রয়েছে ১ হাজার ৪২৮ হেক্টর।এতে করে চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার ২৩৫ মে: টন । উপজেলা ভিত্তিক রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে জেলার সদরে ১৬ হাজার ৯৯৫,পাঁচবিবিতে ১৯ হাজার ৩৫৫, আক্কেলপুরে ১০ হাজার ৬৪৩, ক্ষেতলালে ১০ হাজার ৭৪০ এবং কালাই উপজেলায় ১১ হাজার ৯১৭ হেক্টর। জেলায় রোপা আমন চাষাবাদ সফল করতে কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্বাবধানে ৩ হাজার ৪১১ হেক্টর জমিতে এবার বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। রোপা আমন চাষাবাদ সফল করতে মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছেন। এছাড়াও জেলায় বর্তমানে ইউরিয়া ২ হাজার ৭১৩ মে: টন, টি এস পি ১ হাজার ৩০৯ মে: টন, এম ও পি ১ হাজার ১৪৮ মে: টন এবং ডি এ পি ১ হাজার ৭৬৩ মে: টন রাসায়নিক সার মজুদ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগ আরও জানিয়েছেন, এবার জুলাই মাসে গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০৮ দশমিক ৫ মি:মি:। ওরাপা আমনের চারা রোপণের জন্য তুলনামুলক বৃষ্টিপাত কম হওয়ার ফলে রোপা আমনের চারা রোপণে কিছুটা সমস্যায় পড়েন জেলার কৃষকরা। এ অবস্থায় সেচ সুবিধার আওতায় ২ হাজার ৩৬০টি গভীর ও অগভীর নলকূপের পানি দিয়ে আমনের চারা লাগানোর জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছেবলেও হানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষন কর্মকর্তা কৃষিবিদ এনামুল হক। উল্লেখ্য,গত ২০২২-২৩ রোপা আমন চাষাবাদ মৌসুমে জেলায় ৭১ হাজার ৩শ ৪০ হে: জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছিল। এতে চাল উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৫১ হাজার ৫শ ৮২ মে: টন। যা জেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছিল বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি বিভাগ ।
