• ঢাকা
  • রবিবার , ২২ জুন ২০২৫ , সকাল ১১:৫৭
  • ৮ আষাঢ়, ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
হোম / সারাদেশ

রমজানের আগে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা,অগ্রিম টাকা দিয়েও মিলছে না সয়াবিন তেল

রিপোর্টার : amarsonardesh.com
রমজানের আগে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা,অগ্রিম টাকা দিয়েও মিলছে না সয়াবিন তেল ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ

আমার সোনার দেশ ডিজিটাল : বাজারে কিছুতেই কাটছে না সয়াবিন তেলের সংকট। বিক্রেতাদের অভিযোগ, রমজানের আগে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা চলছে। অগ্রিম টাকা দিয়েও কোম্পানি থেকে পাওয়া যাচ্ছে না তেল। বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকটে দাম বেড়েছে অন্যান্য ভোজ্যতেলের। এমন পরিস্থিতিতে রোজার মাসে সরকারকে কঠোর নজরদারির তাগিদ দিয়েছে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ক্যাব)। গত নভেম্বর মাসেই বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলের সয়াবিন তেল। এরপর ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ানো হয় ৮ টাকা। রমজানের আগে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে ব্যবসায়ীরা।

গত বছরও রোজা শুরুর আগে এপ্রিল মাসে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ভোজ্য তেলের মূল্য সমন্বয় করে সরকার। এবারও একই ঘটনার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে জানুয়ারি মাসে দু দফায় দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে কোম্পানিগুলো। যদিও সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের তীব্র সংকটে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ ক্রেতারা। একজন ক্রেতা বলেন, ‘রমজানের পণ্যগুলো একটি সিন্ডিকেট হয় এবং দামও বাড়ে বেশি করে। এটা যে কি বলব, বলার কোনো ভাষা নেই। আমরা সাধারণ মানুষ আছি অনেক কষ্টে। সিন্ডিকেটই বিরাট সমস্যা আমাদের।’ খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ করা হচ্ছে কম। রোজার মাস টার্গেট করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে বিপণন প্রতিষ্ঠানগুলো। একজন বিক্রেতা বলেন, ‘সয়াবিন তেলটা দিচ্ছেই না। গত ৩–৪ মাস ধরে মাঝেমধ্যে তীর তেলটা আসে। এছাড়া কোনো তেল মার্কেটে নেই।’ ক্যাব বলছে, নানা উপলক্ষ্যে অত্যাবশ্যকীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ানো কোম্পানিগুলোর জন্য নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারসাজি রোধে সরকারকে সতর্ক থাকার পরামর্শ তাদের।  সংগঠনটির সহ সভাপতি এস এম নাজির হোসেন বলেন, ‘রমজানে যেহেতু ভোজ্যতেলের ব্যবহার একটি বাড়ে, সেই সময়টাতে দাম বৃদ্ধি না করে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করে ভোক্তাদের যদি স্বস্তি দেওয়া হয় তাহলে ব্যবসায়ীদের প্রতি আমাদের যে আস্থা যে বিশ্বাস সেটা কিন্তু অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।’  সয়াবিন ও পাম মিলিয়ে বছরে তেলের চাহিদা ২০ লাখ টনের বেশি।


Bangladesh

আরও পড়ুন