• ঢাকা
  • রবিবার , ১৫ জুন ২০২৫ , সন্ধ্যা ০৬:৩১
  • ১ আষাঢ়, ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
হোম / রাজনীতি

আওয়ামী লীগের শীর্ষ ৭২ নেতার হদিস নেই

রিপোর্টার : amarsonardesh.com
আওয়ামী লীগের শীর্ষ ৭২ নেতার হদিস নেই ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ

আমার সোনার দেশ ডিজিটাল : আওয়ামী লীগের শীর্ষ ৭২ নেতার হদিস নেই’-এটি দৈনিক সমকালের ১৪ ডিসেম্বর প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকেই আওয়ামী লীগের ৭২ কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক মন্ত্রী, এমপি মেয়রের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তারা রীতিমতো নিখোঁজ। তবে এদের মধ্যে দলের কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা নিজেদের নির্বাচনী এলাকার কর্মীদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখছেন। টেলিফোনে তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। কেউ কেউ ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়েছেন। কিন্তু তাদের অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ এসব নেতার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়েছে। খোঁজ পেলেই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করবে, এমনকি তাদের জনরোষের ভয়ও আছে। ক্ষমতায় থাকাকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সক্রিয় ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনিখেলা হবেকিংবাপালাব নাইত্যাদি বলে নিয়মিত গণমাধ্যমের শিরোনাম হতেন। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর কোথাও তাঁর উপস্থিতি টের পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আমেরিকা, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে আত্মগোপনে থাকা দলের নেতারা সমকালকে বলেছেন, সাবেক সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী দেশেই আছেন। ভারতে আত্মগোপনে থাকা নেতাদের দাবি, ওবায়দুল কাদের গত নভেম্বরে ভারতে গেছেন। বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারেনএমন আশঙ্কায় তিনি ভারতে আত্মগোপনে আছেন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী . হাছান মাহমুদও ক্ষমতায় থাকাকালে দলের সাধারণ সম্পাদকের মতো প্রতিদিন গণমাধ্যমের শিরোনাম হতেন। বিরোধী দলের তীব্র সমালোচনা করে আলোচনায় থাকতেন। ক্ষমতাচ্যুতির পর দলের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও আত্মগোপনে চলে যান। তিনি দীর্ঘদিন চুপচাপ থাকার পর একটি গণমাধ্যমে নিজের অবস্থান জানান দিলেও কোথায় আছেন, তা স্পষ্ট করেননি। অনেকেই বলছেন, তিনি আছেন বেলজিয়ামে। আওয়ামী লীগ শাসনামলের শেষের দিকে ওবায়দুল কাদের হাছান মাহমুদের মতো গণমাধ্যমে সরব ছিলেন সাবেক তথ্য সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত। অভ্যুত্থানের পর আলোচিত দুই নেতার মতো তিনিও লাপাত্তা। এই তিন নেতার কারোর সঙ্গেই কর্মীদের যোগাযোগ নেই। তবে কয়েক দিন ধরে ফেসবুকে সরব হয়েছেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তবে তিনি কোথায় আছেন, সেটি কেউ জানেন না। ২৪ সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী লাপাত্তা : ছাড়া আরও কমপক্ষে ২৪ জন সাবেক মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীর খোঁজ নেই। তারা নির্বাচনী এলাকার কর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন না। তাদের ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও সচল নয়। কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন বলেছেন, গ্রেপ্তার এড়াতে তারা আত্মগোপনে আছেন। তারা দেশে, নাকি বিদেশে আছেনতাও স্পষ্ট নয়। লাপাত্তা হয়ে থাকা সাবেক মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী মোজাম্মেল হক, সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল, সাবেক স্বাস্থ্য পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম, সাবেক মহিলা শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান, সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার, সাবেক পল্লী উন্নয়ন সমবায় প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারা, সে সময়ে শ্রম কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার চাঁপা এবং সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান। এই মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীদের মতো সাবেক রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম, প্রাথমিক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসি এবং অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খানেরও কোনো খবর নেই। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আগে রুমানা আলী টুসি ওয়াসিকা আয়েশা খান কানাডায় ছিলেন। তারা এখনও দেশে ফেরেননি। জিল্লুল হাকিম জাপান কিংবা ভারতে রয়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। আরও তিনজন সাবেক মন্ত্রীরও কোনো হদিস নেই। তারা হচ্ছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম, সাবেক বিজ্ঞান প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। এই তিনের দুজন বয়সজনিত কারণে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। সাবেক মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যেজনের অবস্থান জানা গেছে। তাদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, সাবেক বস্ত্র পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ভারতে আছেন। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ভারত হয়ে অন্য দেশে গেছেন বলে জানা গেছে। ছাড়া সাবেক মৎস্য প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমান, সাবেক যুব ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন, সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং সাবেক প্রবাসীকল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী লন্ডনে রয়েছেন।


 


Bangladesh

আরও পড়ুন