অবৈধ
ও অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম
সদস্যসচিব সালাউদ্দিন তানভীরকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ওইসব অবৈধ কাজেও
সারজিস আলম জড়িত, বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদ থেকেও এমন ‘নোংরা অপপ্রচার’ চালানো
হচ্ছে বলেও পোস্টে অভিযোগ করা হয়।
সারজিস
লিখেছেন, ‘দায়িত্বশীল পদে থেকে সবচেয়ে বেশি নোংরা মানসিকতা এবং
বিবেকবোধহীন আচরণের পরিচয় দিয়েছেন গণধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ
খান। একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব হয়েও শুধুমাত্র টিআরপি আর ফুটেজের
আশায় প্রোপাগান্ডা মেশিন হিসেবে মনগড়া আর সাপ্লাই পাওয়া তথ্যকে একত্রিত
করে তিনি আমাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি অভিযোগ করেছেন। আমি তাকে
চ্যালেঞ্জ করছি। আমাকে নিয়ে তার ফেসবুকে লেখা অভিযোগুলো তিনি যদি সত্য
প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দিবো। আর যদি না পারেন, তাহলে
তিনি রাজনীতি ছেড়ে দিবেন। গাট্স থাকলে এই চ্যালেঞ্জটুকু তিনি গ্রহণ
করুক।’
এছাড়া পোস্টে সারজিস ফ্রান্সে বসবাসরত অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকি ভট্টাচার্যের কথাও তুলে ধরেছেন। তিনি
লিখেছেন, ‘পিনাকি দাদাকে আমি শ্রদ্ধা করি। ফ্যাসিস্টবিরোধী লড়াইয়ের তিনি
একজন অগ্রসৈনিক। কিন্তু তিনি যখন অনুমানের প্রেক্ষিতে আর্মি চিফের সঙ্গে
ঘুটু করার কথা বলেন, তখন ব্যথিত হই। বিনয়ের সাথে তাকে বলতে চাই,
অভ্যুত্থানের শক্তি আর ফেসগুলোকে আইসোলেটেড করার মাধ্যমে তারুণ্যের
সম্ভাবনাকে শেষ করে দেয়ার নানা অপচেষ্টা এখন হচ্ছে এবং আগামীতেও হবে।
সেসব
অপচেষ্টার ফাঁদে না পড়ে বরং তারুণ্যকে ঐক্যবদ্ধ করতে আপনার প্রচেষ্টা
আমরা প্রত্যাশা করি। কঠিন সময়ে যেহেতু দুনিয়াদারি এসব লোভের ঊর্ধ্বে
থাকতে পেরেছি, আগামীতেও অন্য কোনো ব্যক্তিস্বার্থকেন্দ্রিক ইকুয়েশন স্পর্শ
করতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ।’ পোস্টে
নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সারজিস আলম লিখেছেন, ‘৫ই আগস্টের পর থেকে আজ
পর্যন্ত অবৈধ এক টাকা স্পর্শ করিনি, অনৈতিক কোনো সুপারিশকে প্রশ্রয়
দেইনি। এটা আমার কাছে অভ্যুত্থানের রক্তের কমিটমেন্ট। আমার নিজের সাথে
নিজের কমিটমেন্ট।’ সূত্র-সময়।