আমার সোনার দেশ ডিজিটাল : হাসনাতের দাবি মতো গত ১১ মার্চ সেই বৈঠকটি সত্যি হয়েছিল। সেদিন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গেই হাসনাতদের বৈঠক হয়েছিল। বাংলাদেশি সেনার দিকে আঙুল তুলে সম্প্রতি বিস্ফোরক সব দাবি করেছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি দাবি করেছিলেন, আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফেরাতে সেনা নাকি চাপ সৃষ্টি করেছে তাঁদের ওপর। এর জন্যে ক্যান্টনমেন্টে নাকি গোপন বৈঠকও হয়েছিল।
সেখানে নাকি আবার হাসনাতদের ধমক দিয়েছিলেন বাংলাদেশি সেনার উচ্চপদস্থ এক কর্তা। এই সব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নতুন করে উত্তাল হয়ে উঠেছে। (সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস)। আর এহেন পরিস্থিতিতে এবার মুখ খুলল বাংলাদেশ সেনা। সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজকে নাকি এই বিষয়ে সেনাবাহিনী বলেছে, ‘হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্ট সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বৈ অন্য কিছু নয়। এটা শুধু রাজনৈতিক স্টান্টবাজি।’ তবে সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসনাতের দাবি মতো গত ১১ মার্চ সেই বৈঠকটি সত্যি হয়েছিল। সেদিন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গেই হাসনাতদের বৈঠক হয়েছিল। তবে আওয়ামি লিগকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফেরানোর জন্যে চাপ দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়টি সেনা অস্বীকার করেছে। সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সারজিস এবং হাসনাতই চেয়েছিলেন বৈঠক করতে। সেই মতো সেনাপ্রধান তাঁদের সময় দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, গত ২০ মার্চ হাসনাত এক ফেসবুক পোস্ট করে দাবি করেছিলেন, ক্যানটনমেন্টে নাকি সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্তার সঙ্গে সম্প্রতি নাকি বৈঠক করেছিলেন তাঁরা। তাতে নাকি তিনি 'ধমক' খেয়েছেন। ফেসবুকে নিজেই আবার সেই বৈঠকের বিবরণ দেন সেই এনসিপি নেতা। তাঁর কথায়, ক্যানটমেন্টে সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে, সেটাকে তাঁরা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হিসেবে গণ্য করছেন। এই আবহে ২২ মার্চ একটি জনসভাতে ফের সেনাকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন হাসনাত। সেখানে এনসিপি নেতা বলেছিলেন, 'সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা ও সমর্থন আছে। আপনাদের যাদের কাজ ক্যানটনমেন্টে, তাঁরা ক্যানটমেন্টেই থাকুন। আমরা আপনাদের শ্রদ্ধা জানাই। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে আপনাদের যে অবদান রয়েছে, সেটা আমরা স্বীকার করি। কিন্তু আমরা বলতে চাই, আপনারা গত ১৬ বছর ধরে ক্যানটনমেন্ট থেকে যেভাবে রাজনীতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছেন, বিভিন্ন দফতরের মাধ্যমে যেভাবে রাজনীতিতে নোংরা হস্তক্ষেপ করেছেন... ২০২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করবে শুধুমাত্র রাজনীতিবিদরা।' এদিকে সেনার তরফ থেকে এখন দাবি করা হচ্ছে, হাসনাতের এই সব দাবি ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো।