ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ
আমার সোনার দেশ ডিজিটাল : ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের কোনও অবনতি হয়নি। শুধু অপপ্রচারের জন্য কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সেই দ্বন্দ্ব কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। সোমবার এক সাক্ষাত্কারে এমনই দাবি করলেন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই প্রতিবেশী দু’দেশের সুসম্পর্ক তলানিতে। পদ্মাপারে ক্রমশ চড়েছে দিল্লিবিরোধী সুর। ভারতের বদলে পাকিস্তানকে বেশি করে আঁকড়ে ধরেছে ঢাকা। ইসলামাবাদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কও বৃদ্ধি করেছে। ইউনুস সরকারের একাধিক উপদেষ্টা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও ভারত নিয়ে বিষোদ্গার করেছেন। খোলাখুলি বলেছেন উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলিকে সমর্থনের কথাও। এই আবহে ইউনুসের আচমকা সুর নরম করার বিষয়টি তাত্পর্যপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক মহলের। ইউনুস জানিয়েছেন, ‘ভারতের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রেখে চলেছে ঢাকা। দুই দেশের লোকজনও যাতায়াত করছে।’
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া ওই সাক্ষাত্কার দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। তিনি আরও বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ভালো না থেকে উপায় নেই। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সবসময় ভালো থাকবে। ঐতিহাসিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে আমাদের এত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, পারস্পরিক নির্ভরশীলতা এত বেশি যে তা থেকে সরে আসা সম্ভব নয়।’ তাহলে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি কেন? জবাবে অপপ্রচারকে দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘মাঝখানে কিছু কিছু দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। আমি বলেছি, মেঘ দেখা দিয়েছে। এই মেঘগুলো এসেছে অপপ্রচার থেকে। এই অপপ্রচারের ফলে আমাদের সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে। সেই ভুল বোঝাবুঝি থেকে আমরা বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।’ প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সপ্তাহেই নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ওই সাক্ষাত্কারেই ইউনুস এও জানান, আওয়ামি লিগকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হবে কি না, তা ঐক্যমত্যের ভিত্তিতেই ঠিক করা হবে। শেখা হাসিনার দলকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘ওরা দেশকে অশান্ত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। আওয়ামি লিগ মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন ঘোষণা করছে, বক্তৃতা দিচ্ছে। মানুষ উত্তেজিত হচ্ছে।’বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে তলানিতে। একের পর এক ধর্ষণ, লুটপাটের ঘটনায় আতঙ্কে সিঁটিয়ে সাধারণ মানুষ। পুলিসের তথ্যই বলছে, গত ছয় মাসে ডাকাতির সংখ্যা ৫০ শতাংশ বেড়েছে। যদিও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনও অবনতি হয়নি বলে দাবি করেছেন ইউনুস। তাঁর দাবি, অপরাধের পরিমাণ মোটেই বাড়েনি। সব আগের মতো রয়েছে।
Bangladesh