আমার সোনার দেশ ডিজিটাল : উত্তরা পূর্ব থানা থেকে সাবেক ওসি পালানোর ঘটনায় বর্তমান ওসি মো. মহিবউল্লাহকে প্রত্যাহার করে ডিএমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে এ ঘটনায় এএসআই সাজ্জাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া সাবেক ওসি শাহ আলম পালানোর ঘটনায় ডিএমপির পক্ষ থেকে রেড এলার্ট জারি করা হয়। পালানোর অভিযোগে শাহ আলমের নামে মামলাও করেছে পুলিশ।
সাবেক ওসি শাহ আলমকে পরিকল্পিতভাবে পালানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে দুপুরে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা। এসময় ওসিকে গ্রেপ্তারে তিন দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন তারা। তা নাহলে থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেন তারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘থানা হেফাজত থেকে একটা খুনের আসামি, গণহত্যার আসামি পালিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে বাংলা সিনেমার নাটক। এই নাটক দেখিয়ে এক খুনি আরেক খুনিকে সহযোগিতা করেছে।’এদিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরার ডিসি রওনক জাহান বলেন, ‘আপনাদের (শিক্ষার্থী) যে দাবি, সেই দাবি পূরণে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যহত রাখব। কোনো ঘাটতি থাকবে না, কথা দিলাম আপনাদেরকে। সেই তো ওই থানার সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। সামন্য অবহেলা যদি পাওয়া যায় তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন শাহ আলম। পরে তাঁকে বদলি করা হয় কুষ্টিয়ায়। বুধবার রাতে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শাহ আলমকে। ঢাকায় এনে আদালতে তোলার আগে উত্তরা-পূর্ব থানা থেকেই পালিয়ে যান তিনি। ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ছিলেন শাহ আলম।