• ঢাকা
  • শনিবার , ১৪ জুন ২০২৫ , রাত ০১:৫৭
  • ৩০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
হোম / জাতীয়

মাদ্রাসায় শিশুর লাশ, ধর্ষণের পর হত্যা!

রিপোর্টার : amarsonardesh.com
মাদ্রাসায় শিশুর লাশ, ধর্ষণের পর হত্যা! ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ

রংপুর প্রতিনিধি

রংপুরে একটি মাদ্রাসা থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নগরীর গনেশপুর বকুলতলা জান্নাতবাগ হাফেজিয়া মাদ্রাসার নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ১০ বছর বয়সী শিশুটির ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মাদ্রাসাটির এক শিক্ষকসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে।

নিহত শিশুটি ওই মাদ্রাসার নাজেরা শাখার ছাত্র ছিল এবং লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে (আবাসিক ভবনে) থাকত। তার বাড়ি মিঠাপুকুরের বালারহাট ইউনিয়নের বুদ্রুক ঝালাই এলাকায়। ঘটনাটির তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার নিহতের বাবা কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। যাতে বলাৎকারের (ধর্ষণ) পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।


স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদ্রাসাটির মাঠে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল শিশুটি। পরে মাগরিবের নামাজের সময় তাকে মসজিদে দেখা যায়নি। তখন খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে মাদ্রাসাটির নির্মাণাধীন একটি ভবনের তিনতলার বাথরুমে তার মরদেহ পাওয়া যায়।


শিশুর বাবার দাবি, তার ছেলেকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাত-নির্যাতনের বহু চিহ্ন আছে, এমনকি ঘাড় মটকে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন তিনি।


শিশুকে মাত্র তিন সপ্তাহ আগে মাদ্রাসাটির লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে ভর্তি করানো হয়েছিল বলে জানান তার বাবা। তিনি বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাদ্রাসার এক শিক্ষক তার মোবাইল ফোনে কল করে শিশুর অসুস্থতার খবর জানান। তাকে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়। কিন্তু তিনিসহ পরিবারের লোকজন মাদ্রাসায় গেলে বিষয়টি নিয়ে টালবাহানা করতে থাকে মাদ্রাসা কর্র্তৃপক্ষ। পরে মাদ্রাসা কমিটির লোকজন জানান, তার ছেলে মারা গেছে।



শিশুর বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছিল। সে শুক্রবার সকালে বাড়িতে ছুটি নিয়ে ফিরবে বলে জানায়। তার মা ছেলের জন্য মাংস কিনে রেখেছিল। অথচ এখন সে বাড়ির পরিবর্তে মেডিকেলের মর্গে রয়েছে।’


কোতোয়ালি থানার এসআই মোহাম্মদ হালিম মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে শিশুর শরীরে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। তার পরনের পায়জামাতেও ধর্ষণের নমুনা আছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নগরীর কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, ‘এর আগেও ওই মাদ্রাসায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সবকটি ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঘটনার পরপরই সন্দেহমূলকভাবে শিক্ষক আবদুর রহমান ওরফে আবদুল্লাহসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। শিগগিরই প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন হবে।’সূত্র: দেশ রুপান্তর 


war

Bangladesh

আরও পড়ুন