ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ
আমার সোনার দেশ ডিজিটাল : অনুমোদিত সীমার অতিরিক্ত ঋণ দিয়েছে দেশের ১৬টি ব্যাংক। আগ্রাসী ঋণ বিতরণের ফলে ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট বৃদ্ধির পাশাপাশি আমানত নিয়ে ঝুঁকিতে গ্রাহকরা। গ্রাহকদের আমানত সুরক্ষায় নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আরেও কঠোর হওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধিমালা অনুযায়ী, একটি প্রচলিত ধারার ব্যাংক ১০০ টাকার আমানতের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৮৭ টাকা ঋণ দিতে পারে। আর, ইসলামি ধারার ব্যাংকের ক্ষেত্রে এই সীমা ৯২ টাকা। যাকে এডিআর বা ঋণ-আমানত অনুপাত সীমা বলা হয়। ডিসেম্বর শেষে, এই নীতি লঙ্ঘন করেছে ১৬টি ব্যাংক।
প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর মধ্যে এডিআর সীমা লঙ্ঘনে শীর্ষে ন্যাশনাল ব্যাংক, যা ১১৩ শতাংশের বেশি। এরপরেই ১১১ শতাংশ এক্সিম ব্যাংকের। এ তালিকায় আছে জনতা ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ইউসিবিসহ ৯টি ব্যাংক। ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের এডিআর ১৪০ শতাংশ। আর ১০০ শতাংশের বেশি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, এসআইবিএল, ইউনিয়ন, এবি ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘ব্যাংকের অধিক মাত্রায় মুনাফার লোভ তাদেরকে ঝুঁকিতে, লিকিউডিটি ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকি সৃষ্টি করে যার ফল ভোগ করতে হয় আমানতকারীদের।’
Bangladesh