• ঢাকা
  • বুধবার , ১৯ মার্চ ২০২৫ , সকাল ০৯:১৪
  • ৫ চৈত্র, ১৪৩১
ব্রেকিং নিউজ
হোম / আইন-বিচার

পিবিআই তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় প্রতারণার মামলায় অনন্ত জলিলকে আদালতে হাজিরের সমন

রিপোর্টার : amarsonardesh.com
পিবিআই তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় প্রতারণার মামলায়  অনন্ত জলিলকে আদালতে হাজিরের সমন ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ

আমার সোনার দেশ ডিজিটাল : প্রতারণার মামলায় চলচ্চিত্র অভিনেতা অনন্ত জলিলকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ পিবিআইয়ের দেওয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন। এর আগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিবিআইয়ের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পুলিশ পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পন্ডিত আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সে প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলার নথি থেকে জানা গেছে, অনন্ত জলিল ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন তার মালিকানাধীন পলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রির এমডি তার স্ত্রী জাহানারা বেগম (কোম্পানির নিবন্ধিত তথ্য অনুযায়ী), কোম্পানিতে বিভিন্ন পদে কর্মরত মো. শরীফ হোসেন, সাইকুল ইসলাম, মো. মিলন সাইদুল ইসলাম। আরজি থেকে জানা যায়, গার্মেন্টস ব্যবসায় ওয়ার্ক অর্ডারের বিপরীতে প্রায় ২৯ হাজার ৩০০ ডলার মূল্যের বিল পরিশোধ না করে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী নামের এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওইদিন আদালত মামলার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলা দায়েরের এক বছরের মাথায় গত ২৭ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেন। আরজিতে বলা হয়, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর আসামিরা পলো কম্পোজিট কোম্পানির নামে বাদীর কাছে গার্মেন্টস সম্পর্কিত কিছু কাজের জন্য অর্ডার দেন। এরপর বাদী কাজ শুরু করে কাজের বিপরীতে প্রতিশ্রুত টাকা চাইলে আসামিরা কাজ চালিয়ে যেতে বলেন এবং এলসির মাধ্যমে টাকা দেবেন বলে জানান। পরে তারা আরও বেশ কিছু কাজের অর্ডার দেন। বছরের মার্চ পর্যন্ত বাদী সবগুলো কাজ আসামিদের বুঝিয়ে দেন। এরপর ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ টাকা পরিশোধের জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংকে আসামিরা বাদীর একটি এলসি করেন। পরে বাদী টাকার জন্য ব্যাংকে যোগাযোগ করলে এলসির কাগজপত্রে ত্রুটির জন্য টাকা উঠাতে ব্যর্থ হন। আরজিতে আরও বলা হয়, বাদী চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করলেও অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত এক টাকাও পরিশোধ করেনি। যেখানে বিলের পরিমাণ প্রায় ২৯ হাজার ৩০০ ডলার।


Bangladesh

আরও পড়ুন