• ঢাকা
  • শনিবার , ১৪ জুন ২০২৫ , রাত ০২:১৭
  • ৩০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
হোম / আইন-বিচার

দেশজুড়ে বাড়ছে রাজনৈতিক সহিংসতা-গণপিটুনি

রিপোর্টার : amarsonardesh.com
দেশজুড়ে বাড়ছে রাজনৈতিক সহিংসতা-গণপিটুনি ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ

আমার সোনার দেশ ডিজিটাল:দেশে রাজনৈতিক অন্তর্দ্বন্দ্ব সহিংসতায় হতাহতের ঘটনা যেমন বেড়েই চলেছে তেমন বেড়েছে দুষ্কৃতিকারীদের হাতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নিহত হওয়ার ঘটনা। সোমবার মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) দেওয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এমএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গণপিটুনিতে হতাহতের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েই চলেছে। মার্চ মাসেও গণপিটুনির সংখ্যা আশঙ্কাজনক বেড়ে যাওয়ায় জনমনে নিরাপত্তা বোধের বিষয়টি প্রশ্নাতীতভাবে ভাবিয়ে তুলেছে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের পাঠানো প্রতিবেদনটিতে চলতি মার্চ মাসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও সংগৃহীত তথ্য যুক্ত করা হয়েছে।  এমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার আন্দোলন বিরোধীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। মার্চ মাসে ঢালাওভাবে গ্রেপ্তার কমলেও তা এখনও উদ্বেগজনক। অপরাধ প্রবণতা প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতির মতো অপরাধের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীলতা ও সংবেদনশীলতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। 

রাজনৈতিক সহিংসতায় হতাহত

প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, মার্চ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা বিশেষত রাজনৈতিক নেতাদের নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্ব অনেকাংশে বেড়েছে। বিএনপির দলীয় কর্মীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব লক্ষ্যণীয়ভাবে বেড়ে যাওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেই চলেছে। যা জনমনে নিরাপত্তহীনতা, ভীতি ও আতংকের সৃষ্টি করেছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও এমএসএফ কর্তৃক সংগৃহিত তথ্য অনুযায়ী, মার্চ ২০২৫ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫২টি ঘটনায় সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৪৫৯ জন। তাদের মধ্যে ১২ জন নিহত এবং ৪৪৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৩ জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন । নিহতদের মধ্যে রয়েছে ৬ জন বিএনপির, ৩ জন আওয়ামি লীগের, ১ জন পথচারী, ১ জন বৃদ্ধ ও ১ জন প্রবাসী রয়েছেন। রাজনৈতিক কর্মী না হয়েও বিএনপির দলীয় সংঘর্ষের মধ্যে পরে উল্লিখিত তিনজন নিহত হয়।

সহিংসতার ৫২টি ঘটনার মধ্যে বিএনপির অন্তর্দ্বন্দের ৩৯টি, বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষের ৬ টি, বিএনপি-জামাত সংঘর্ষের ৩ টি, বিএনপি-জামাত-ইসলামী ঐক্যজোটের সংঘর্ষের ১টি, বিএনপি-এলডিপি সংঘর্ষের ১টি বিএনপি-জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংঘর্ষের ১টি, জাতীয় নাগরিক পার্টির অন্তর্দ্বন্দের ১টি ঘটনা হয়েছে। এর পাশাপাশি দুষ্কৃতিকারীদের হাতে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ৪টি ঘটনা ঘটেছে। এ সকল ঘটনায় নিহত হয়েছে ২ জন এবং আহত হয়েছে ৬ জন। এছাড়াও এ মাসে দুইজন রাজনৈতিক নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

গণপিটুনি

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও এমএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি মার্চ মাসে অন্তত ৩৯টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ১৩ জন নিহত ও ৫৬ জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। গণপিটুনির শিকার ৪০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনিতে নিহতের মধ্যে ৭ জন ডাকাত সন্দেহে, ২ জন সন্দেজনক চুরির অভিযোগে, ১ জন রাজনৈতিক কারণে, ১ জন ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে, ১ জন অতিরিক্ত মদ্যপানের অভিযোগে এবং ১ জনকে ছিনতাইকারী সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। 

অপরদিকে ১৯ জন ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে, ৪ জন যৌন হয়রানির অভিযোগে, ৪ জন ছিনতাইয়ের অভিযোগে, ১৪ জন ডাকাতির অভিযোগে এবং সন্দেহজনক চুরি, ছিনতাই এ ধরনের অপরাধজনিত কারণে ১৫ জনকে গণপিটুনি দিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। 


Bangladesh

আরও পড়ুন