স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া
বগুড়ায় উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের বাগইল গ্রামে খালা ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক ভাগ্নীকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও ডাকাতি করার ঘটনার সাথে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। জেলা পুলিশের একটি টিম (২১
জুলাই) বৃস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী তার নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গণধর্ষণের শিকার খালা ও ভাগ্নি নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। গত ১২ জুলাই তারা বাসযোগে নিজ এলাকা রংপুরে যাচ্ছিলেন। বগুড়ায় এসে বাসটি বিকল হয়। এরপর রাত বেশি হওয়ায় ওই গার্মেন্টস কর্মী খালার সহকর্মী রব্বানীর অনুরোধে কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের কুশলিহার পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে অবস্থান করেন। আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে সারাদিন থাকার পর তার ভ্যানযোগে তারা নিজ এলাকা রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে পাইকড় ইউনিয়নের বাগইল গ্রামস্থ বড় পুকুর ব্রিজের কাছে পৌঁছামাত্র গ্রেফতারকৃত আসামিরাসহ আরও অজ্ঞাত বেশকয়েক জন তাদের গতিরোধ করে ভিকটিমদের কাছে থাকা ৭২ হাজার টাকা, একজোড়া কানের দুল ও একটি বাটন মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে খালা ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক ভাগ্নিকে পৃথক স্থানে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেফতারকৃতরা হলো কুশলিহার গ্রামের আশরাফ আলী ফকিরের ছেলে আবুল কাশেম মানিক (৩৫), বাগোইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে রাকিব হাসান (২৩), বাগোইল উত্তরপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে শাকিল হোসেন (২৩), একই গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে আতিক হাসান প্রান্ত (২২) এবং কুশলিহার পূর্বপাড়ার মোস্তফা ফকির ওরফে মুস্তা ফকিরের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব (২৫)। পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কাহালু থানায় ডাকাতিসহ গণধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের গতকাল বৃহ¯পতিবার আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।