এর আগে, শনিবার শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। এতে শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বোনের স্বামী, শাশুড়ি ও ভাসুরকে শনিবার বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়। আর শুক্রবার কারাগারে পাঠানো হয় বোনের শ্বশুরকে।
এদিকে, ভুক্তভোগী শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) বা শিশু নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে এক খুদে বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এর আগে, শনিবার (৮ মার্চ) মাগুরা সদর উপজেলায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (ঢামেক) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ৫ মার্চ বুধবার রাত ১০টার দিকে খাবার খেয়ে বড় বোন ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে একই কক্ষে ঘুমায় শিশুটি। রাতে শিশুটির দুলাভাইয়ের (বোনের স্বামী) সহযোগিতায় তার বাবা তার মুখ চেপে ধরে কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সে চিৎকার করতে গেলে তার গলা চেপে ধরা হয়। পরে তাকে আবার বোনের কক্ষের মেঝেতে ফেলে রেখে যায়। এরপর অসুস্থ হলে পরদিন বেলা ১১টার দিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুটিকে।