• ঢাকা
  • মঙ্গলবার , ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , রাত ১২:৫৪
  • ২৮ মাঘ, ১৪৩১
ব্রেকিং নিউজ
হোম / বগুড়া সদর উপজেলা

দেশ পরিচালনায় শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা: এস এম কামাল হোসেন

রিপোর্টার : amarsonardesh.com
দেশ পরিচালনায় শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ  হাসিনা: এস এম কামাল হোসেন ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

পদযাত্রার নামে বিএনপি ও বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও ককটেল বিস্ফোরণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা, ইয়াকুবিয়া স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আহত,সদর পুলিশ ফাঁড়ি ভাংচুর সহ সারাদেশে ও সন্ত্রাস  নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

২২ জুলাই শনিবার সকাল ১১ টায়  বগুড়া শহরের শহীদ খোকন পার্কে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এস এম কামাল হোসেন বলেন, দেশ পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা। তিনি তার কর্মদক্ষতা দিয়ে  বিশ্ব নেতৃত্বে পরিনত হয়েছেন। তার নেতৃত্বেই দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সংবিধান মেনে শেখ হাসিনার অধিনে। এর কোন বিকল্প নেই। কারণ বিএনপিই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিতর্কিত করেছে। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে বিচারপতির বয়স বাড়িয়ে নিজেদের মত করে নির্বাচন করার চেষ্টা করেছে। 
বিএনপি ১৯৯৬ সালের ১৫ ই ফেব্রুয়ারী ভোটার বিহীন নির্বাচন করে বাংলদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলুষিত করেছে। সেসময় প্রতিক্রিয়াশীল ফ্রিডম পার্টি ছাড়া অন্য কোন দল অংশ নেয়নি।
তাদের নেতা তারেক জিয়া বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে গুজব রটিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। 
তিনি বলেন,তারেক রহমান জঙ্গিবাদের হোতা,খুনিদের পৃষ্টপোষক। তার পিতা জিয়া ১৯৭৯ সালে হা -না ভোট করে নিজেকে নেতা বানানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন। সেই হা- না ভোটে কোথাও কোথাও ১১০ ভাগ ভোট পড়েছে।অথচ মানুষ ভোট কেন্দ্র যায়নি।তিনি ভোটের বাক্সে ৯৭ ভাগ ভোট দেখিয়ে বলেন তার প্রতি জনগণের সমর্থণ আছে। 
জিয়া তখন দেশে কারফুতন্ত্র চালু করে দেশে  আতঙ্কের সৃষ্টি করে। সেসময় আওয়ামী লীগের সাড়ে চার লাখ মানুষকে খুন করে। 
তিনি বলেন,ফখরুল সাহেব গণতন্ত্রের চবক দেন।তারা ২০০৭ সালে ১কোটি ২১ লাখ ভুয়া ভোটার বানিয়ে ভোটে জেতার চেষ্টা করে।  কিন্তু বাংলার মানুষ তাদেরকে ছেড়ে দেয় নাই। 
বিএনপি দেশের নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছে।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালিয়ে।বাড়িঘর পুড়িয়েছে।লাখ লাখ আওয়ামী লীগের কর্মীদের খুন করেছে, জেলে ভরিয়েছে।
২০০১ সালে নামমাত্র খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থেকেছে,কিন্তু সরকার পরিচালনা করেছে হাওয়া ভবন থেকে তারেক রহমান।
সেসময় তারেক দেশে জঙ্গিবাদের জন্ম দিয়েছে।সারাদেশে বোমা হামলা চালিয়েছে।আহসানউল্লাহ মাষ্টার সহ ডজন ডজন নেতৃস্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের বেছে বেছে খুন করেছে। বাংলা ভাইয়ের মত সন্ত্রাসীদের জন্ম দিয়েছে।
শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড মেরে বার বার হত্যার চেষ্টা করেছে।তার আমলেই বাংলাদেশ জঙ্গির দেশে পরিচিতি পেয়েছে।২০০১ হতে ২০০৬ সাল বাংলাদেশ দূর্নীতিতে চাম্পিয়ান হয়েছে।
তখন বিএনপি খালেদা ও তারেকের উপর ভর কর করতো আর এখন ক্যানাডা ও ইউরোপের উপর ভর করতে শুরু করেছে। 
তারা কখনও এক দফা ১৩ দফা কখনও ২৯ দফা আন্দোলনের ঘোষনা করেছে। তাদের অবৈধ দফা কোন দিন পূরন হবেনা। তারা সারের জন্য কৃষককে হত্যা করেছে।
তারা ২০০১,সালে এক মেগাওয়াটও বিদ্যুৎ উৎপাদন করেনি।বিদ্যুতের নামে তারা হাওয়া ভবন থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা লুট করছে।তাদের নেতা তারেক রহমান বলতো এক সাথে শপিং মলে ও বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ দেয়া কোন সরকারের পক্ষেই সম্ভব নয়। বিএনপির নেত্রী এতিমদের টাকা চুরি করে সাজা খাটছেন,আর তার পুত্র রাজনীতি করবেনা বলে মুচলেখা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে আছে।আর বিদেশ থেকে একের পর এক দেশ বিরোধী যড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ জুলাই বগুড়ায় তান্ডব চালিয়ে গাড়ি ভাংচুর,স্কুলের গাড়ি ভাংচুর,  করে ছাত্রীদের আহত করে,পুলিশ ফাড়িতে হামলা চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। কিন্তু সেদিন সচেতন বগুড়াবাসী শক্ত হাতে তা প্রতিহত করে। 
তিনি বলেন বিএনপি যদি দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করে তা মোকাবেলা করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। তাদের হামলা জবাব দিতে হবে। দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হবে। আর ১৩ সালের মত সন্ত্রাস করতে দেয়া হবেনা। প্রযোজনে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রয়োজনে পাড়ায় মহল্লায় প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে কারন জনগন শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে চায়
প্রতিবাদ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বগুড়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু। তিনি বগুড়ার উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে তার বক্তব্য তুলে ধরেন।  জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মজনুর সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি সঞ্চালনায়  প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি গাবতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফি নেওয়াজ খান রবিন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিক, আল রাজি জুয়েলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য প্রতিবাদ সমাবেশে বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মী ও বগুড়ার সকল ওয়ার্ডের নেতাকর্মী সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মী মিছিল সহকারে সমাবেশে যোগদান করেন।


Bangladesh

আরও পড়ুন