বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ায় ৫ আগষ্ট পরবর্তী হত্যা মামলা নিয়ে জমাট বাঁধছে ‘রহস্য’। যে কারণে মামলার আসামি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা ক্রমশই আশাবাদী হয়ে উঠছে বলে জানা গেছে। এখন পযন্ত আদালতের আদেশে ময়না তদন্তের জন্য ২ জনের লাশ উত্তোলন করতে গিয়ে বাঁধা প্রাপ্ত হয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বাঁধার কারণ হিসাবে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়,ছেলে যুবদল কর্মী ফোরকান আলীর মৃত্যু হৃদ্রোগে হলেও তাঁকে না জানিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান করে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে মামলা প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন হৃদ্রোগে মৃত যুবদল কর্মীর পিতা আব্দুল কুদ্দুস। ঘটনাটি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ঘাসিড়া গ্রামের। ২৮ নভেম্বর মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করতে যান। এ সময় ফোরকান আলীর পরিবার থেকে আপত্তি জানানো হয়। এমন পরিস্থিতিতে লাশ না ওঠিয়ে ওঠানো যায়নি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরে যান। গত ৩০ অক্টোবর শাজাহানপুরের খোট্টাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ইউনুছ আলী হলুদ বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলা করেন। এদিকে ফোরকান আলীর বাবা মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘আমার ছেলে বিএনপির মিছিলে গিয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তাকে কেউ হত্যা করেনি। তার শরীরে কোনো জখম বা আঘাতের চিহ্ন ছিল না। আমার ছেলের স্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ায় আমরা সেই সময় মামলা করিনি। এদিকে জুলাই বিপ্লবে নিহত বগুড়ার এরুলিয়া বানদিঘির রিপন ফকিরের লাশ গত ২৪ নভেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে রিপন ফকিরের মৃত্যু নিয়ে জমাট বাঁধছে ‘রহস্য’! স্বজনদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়,গুলিতে নয়,খালি পেটে মিছিলে গিয়ে রুটি খাওয়ার সময় গলায় আটকে রিপন ফকিরের মৃত্যু হয়। একটি পক্ষ তাদেরকে ভুল বুঝিয়ে মামলাটি দায়ের করে। লাশ ২ টি কবর থেকে উত্তোলনের সময় স্বজনদের বক্তব্যে জমাট বাঁধছে ‘রহস্য’। ফলে মামলাগুলোর ভবিষ্যত কি হবে তা নিয়ে নান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সব মহলে।