• ঢাকা
  • মঙ্গলবার , ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , রাত ১২:৫৩
  • ২৮ মাঘ, ১৪৩১
ব্রেকিং নিউজ
হোম / বগুড়া প্রতিদিন

বগুড়ার শেরপুরে ধর্ষণের ঘটনা ধামা চাপা দিতে তামিমকে হত্যা

রিপোর্টার : amarsonardesh.com
বগুড়ার শেরপুরে ধর্ষণের ঘটনা ধামা চাপা দিতে তামিমকে হত্যা ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া

গত বুধবার ১০ জুলাই ডিসিস্ট মোঃ তামিম (১৩), পিতা-মোঃ মুকুল আকন্দ, গ্রাম-দক্ষিণ আমইন, থানা- শেরপুর, এর মা মোছাঃ সুফিয়া খাতুন শেরপুর থানায় নিখোঁজ জিডি করেন। জিডি নং-৫৯৪, ডিসিস্ট এর মা তার ছেলে তামিম (১৩) গত ১০ জুলাই সকাল টায় বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়, ফিরে আসে না। ডিসিস্ট এর পরিবার জেলা পুলিশ ডিসিস্ট তামিমকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। গত ১১ জুলাই সকাল আনুমানিক টার সময় পুকুরের পাহাড়াদার এমদাদুল (২২) পুকুর মালিক মান্নানকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংবাদ দেন যে, পুকুরে একটি পাটের বস্তা ভাসছে। এতে পুকুর মালিক আব্দুল মান্নান তার সঙ্গীয় মোঃ বাদশাসহ পুকুরের উত্তর পাড়ে এসে ভাসমান চটের বস্তাটি পানি হতে তুলে বস্তার মুখ খুললে তারা মানুষের পাঁ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। উল্লেখিত বিষয়ে ডিবি শেরপুর থানার যৌথ অভিযানে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শেরপুর উপজেলার আব্দুল মান্নান এর পুকুর পাড় থেকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীকে গ্রেফতার ঘটনাস্থল আলামত জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন, দক্ষিণ আমইন গ্রামের পিতা-মোঃ খাদেমুল ইসলামের পুত্র মোঃ এমদাদুল হক (২২) গ্রেফতার। চটের বস্তা ১টি, মৃতদেহ উদ্ধারকালে প্রাপ্ত বস্তা, গরু বাঁধার রশি . ফিট, মৃতের গলায় প্যাঁচানো রশি, পানডা লেখা কালো ১টি স্যান্ডেল। ভিকটিমের স্যান্ডেল, বেডসিট ১টি, নীল রঙের প্লাস্টিকের ড্রাম কেটে বানানো নৌকা যাহার মাঝখানে একটি কাঠের তক্তা রয়েছে। যার মাধ্যমে বস্তাবন্দি মৃতদেহ পুকুরের মাঝখানে স্থানান্তর করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী জানায় যে, সে মান্নান এর পুকুর গরুর খামার দেখাশোনার কাজ করে। গত বুধবার সকাল সাড়ে সময় ডিসিস্ট তামিম (১৩) পুকুর পাড়ের ঘর থেকে মাছের কিছু খাবার নেয়। বিষয়টি এমদাদুল দেখে ফেলে তামিমকে বলে তার সাথে কাজ (সেক্স) করতে হবে। কিশোর তামিম আসামীর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আসামী তামিমকে, মালিকের কাছে ধরিয়ে দিবে দেবে বলে ভয় দেখায়। যার ফলে তামিম ভীত হয়ে আসামীর প্রস্তাবে রাজী হয়। তখন আসামী তামিমকে পুকুর পাড়ের একটি ঘরে নিয়ে যায় এবং তামিম এর সাথে অপ্রকৃতস্থ সংগমের ফলে তামিম এর মলদার ফেটে যায়। তামিম কান্নাকাটি চিৎকার শুরু শুরু করে হিংস্র জানোয়ার নরপিশাস আসামী ইমদাদুল হক, নিষ্পাপ কিশোর তামিমের এর গলা চেপে ধরে। তবুও তামিম চিল্লাচিল্লির চেষ্টা করলে আসামী তামিম এর গলাই রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে আসামীর ঘরে থাকা পাটের তৈরী ভুষির বস্তার মধ্যে তামিম এর লাশ ভরে বস্তার মুখ বেঁধে ঘরের পাশের পুকুরে থাকা প্লাস্টিকের ড্রামের তৈরী নৌকায় তুলে পুকুরের মাঝখানে নিয়ে ফেলে দেয় স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে থাকে। উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্তাধীন রহিয়াছে। আসামীকে ফৌ কা: বি: ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।


Bangladesh

আরও পড়ুন