• ঢাকা
  • রবিবার , ২২ জুন ২০২৫ , সকাল ১১:৫৬
  • ৮ আষাঢ়, ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
হোম / বগুড়া প্রতিদিন

বগুড়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার, বাস চলাচল শুরু,৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম

রিপোর্টার : amarsonardesh.com
বগুড়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার, বাস চলাচল শুরু,৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ

আমার সোনার দেশ ডিজিটাল : বগুড়ায় মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়ায় বাস চলাচল শুরু হয়েছে। বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুর সোয়া ১টা নাগাদ বাস চলাচল শুরু হয়। এর আগে, দুই পরিবহণ শ্রমিক নেতাকে মারধরের প্রতিবাদে বগুড়া থেকে ঢাকাসহ সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় শ্রমিক ইউনিয়ন। সকালে টার্মিনাল থেকে ছাড়েনি কোনো বাস। এতে চরম ভোগান্তিতে পরেন যাত্রীরা। 

বগুড়া জেলা বাস মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এরশাদুল বারী এরশাদ বলেন, ‘শ্রমিক নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সকাল থেকে শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। এ কারণে বগুড়া থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়া কর্মবিরতির কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের অন্য জেলা থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার বাসগুলো চলাচলে শ্রমিকরা বাধা দিচ্ছেন না।’

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মঈনুদ্দীন বলেন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। দুই পরিবহন শ্রমিক নেতার ওপর হামলার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতেই নারিকেল ব্যবসায়ী রতনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।

ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে উল্লেখ করে বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু বলেন, ‘আমাদের শ্রমিক নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছি। এর কঠোর বিচার চাই। পুলিশের আশ্বাসে তিনদিনের জন্য ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরমধ্যে জড়িতদের গ্রেফতার করা না হলে আবারও আন্দোলন হবে।’ সূত্রের খবর, মোটর শ্রমিকের দুই নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে সকাল থেকে বগুড়া থেকে সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের স্টেশন রোডে নারিকেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের বাগবিতণ্ডা থামাতে গেলে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের দুই নেতার ওপর হামলা করেন ব্যবসায়ীরা।

হামলায় আহতরা হলেন- বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানা এবং সদস্য হযরত আলী। এরা দুজনই বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ( শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই হামলার জের ধরে বুধবার সকাল থেকে পরিবহন শ্রমিকরা শহরের চারমাথা, ঠনঠনিয়া, হাড্ডিপট্টি,স্টেশন রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় লাঠিসোঁটা নিয়ে সড়কে নেমে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেন। হঠাৎ পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা পড়েন চরম দুর্ভোগে। বিশেষ করে ঢাকাগামী যাত্রীরা আগাম টিকিট সংগ্রহ করেও গন্তব্যে যেতে পারেননি। শহরের স্টেশন রোডে ব্যবসায়ীরা দোকান পাট বন্ধ রাখেন। বেলা ১১টার দিকে পরিবহন শ্রমিকরা স্টেশন রোডে বন্ধ রাখা নারিকেলের দুইটি আড়তে ভাঙচুর করে আগুনও ধরিয়ে দেন। তবে ওই দোকান দুইটি হামলার শিকার শ্রমিক নেতা আনোয়ার হোসেনের। মানিক এবং রতন নামের দুই ব্যবসায়ী ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন।



Bangladesh

আরও পড়ুন